আসসালামু আলাইকুম
আশা করি সবাই ভাল আছেন।আলহামদুল্লিহ আমিও ভাল আছি।
আমাদের পৃথিবী রহস্যে ঘেরা।এ যেন এক রহস্যের এক অপার ভান্ডার।পৃথিবীতে এমন কিছু জায়গা আছে আপনি যদি সেখানে যান তাহলে হয়ত মনে করবেন আপনি পৃথিবীর বাইরের কোন গ্রহে চলে আসছেন।হয়ত টাইটেল দেখে বুঝতেই পারছেন আমরা আজকে কি নিয়ে আলোচনা করব।হ্যা ভাই পৃথিবীতে এমন জায়গা আছে যেখানে সব সময় দিন বা রাত থাকে।যা আপনার কল্পনাকেও হার মানাতে পারে।তো চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় চলে যাই।
উত্তর মেরু।পৃথবীর উত্তর দিকে অবস্থিত যে স্থানে রয়েছে তাকে বলে উত্তর মেরু।উত্তর মেরুকে সুমেরু নামেও চিনে থাকে অনেকে।উত্তর মেরু আর্কটিক মহাসাগড়ের মধ্যভাগে অবস্থিত।পৃথবীতে ভূখন্ডকে দুইটি মেরুতে বিকক্ত করা হয়।একটি হল উত্তর মেরু আর অপরটি হল দক্ষিন মেরু।দক্ষিন মেরু একটি একটি মহাদেশ নিয়ে ঘটিত।কিতু উত্তর মেরু একটি মহা সাগড় নিয়ে ঘটিত ।তাই উত্তর মেরু নিয়ে রয়েছে মানুষের মধ্যে বিভিন্ন রমক যল্পনা কল্পনা।উত্তর মেরুতে সামদ্রীক গভীরতা ১৩৪৪১ ফুটের উপরে।আর উত্তর মেরুতে রয়েছে ৩০ ফুট পুরত বিশিষ্ট বরফ।উত্তরে মেরু বরফ থাকার কারনে এখানে নিদিষ্ট কোন স্থায়ী স্টেশন স্থাপন করা সম্ভব হয়নি যা দক্ষিন মেরুতে সম্ভব হয়েছে।শুধু তাই নয় উত্তর প্রথম পা রাখার রহস্য এভারেষ্ট বিজয়ের রহস্যের চেয়ে কম রোচাঞ্চ নয়।এ পর্যন্ত উত্তর মেরুতে পৌছানোর কোন সঠিক প্রমান পাওয়া যায় নি।সর্বপ্রথম ১৯০৮ সালে আমেরিকার অভিযাত্রী ফ্রেডারিক আলভার্ড কুক দাবী করেন তিনি এবং তার সহযাত্রী সর্বপ্রথম উত্তর মেরুতে পা রাখেন।কিন্তু কুক এই অভিযানের কোন নিদির্ষ্ট প্রমান দেখাতে পারেনি।ফলে তার এ কথা বাতিল ঘোষনা করা হয়।তবে উত্তর মেরুতে সর্বপ্রথম যাওয়ার কৃতিত্ব যাকে দেওয়া হয় তিনি হলেন আমেরিকার নেভী ইঞ্জিনিয়ার ববার্ট পিয়েরি।কিন্তু তার উত্তর মেরু বিজয়ের নিদির্ষ্ট কোন প্রমান তিনি দিতে পারেনি।কারন যাত্রাকালে তার সফর সঙ্গী ছিল ছয়জন।কিন্তু তিনি যখন উত্তর মেরুতে পৌছান তার সঙ্গে আর কেউ ছিল না।পরবর্তীতে তিনি যে প্রমান পেশ করেন এবং তার সফর সঙ্গীরা যে বর্ননা দেন তার সঙ্গে কোন মিল পাওয়া যায়নি ফলে তার এই ভ্রমন বাতিল বলে ঘোষনা দেওয়া হয়।কিন্তু পরবর্তী ১৯৮৯ সালে পিয়ারকেই প্রথম উত্তর মেরু বিজয়ী হিসেবে ঘোষনা দেওয়া হয়।কারন ঐ সালে টম এভারি নামের এক ব্যাক্তি যাত্রা শুরু করেন।পিয়েরি যে রুটের বর্ননা দিয়েছিলে এভারি সেই রুটের যাত্রা শুরু করেন।তার পৌছাতে সময় লাগে ৩৬ দিন ২২ ঘন্টা।পিয়েরের বর্নানা চাইতে ৫ ঘন্টা কম সময়ে তিনি সেখানে পৌছাতে সক্ষম হন।পরবর্তীতে টম বলেন পিয়েরী প্রথম মানুষ যে প্রথম উত্তর মেরুর খুব কাছাকাছি পৌছাতে সক্ষম হয়েছিলেন।এবং তাকেই উত্তর মেরুর প্রথম বিজয়ী ঘোষনা করা হয়।
উত্তর মেরুতে মাত্র দুইটি ঋতু গ্রীষ্মকাল এবং শীতকাল।গ্রীষ্মকাল ১৮৭ দিন এবং শীতকাল ১৭৮ দিন।এর মধ্যে মজার ব্যাপার হল এদের উত্তর মেরুর গ্রীষ্মকালের ১৮৭ দিন পুরাটাই দিন।তখন কোন সময় তার হয় না।আর শীত কালের ১৭৮ দিন পুরোটাই রাত।তখন আর দিন সংঘটির হয় না।ফলে এখানে বছরের অর্ধেক সময় দিন আর অর্ধেক সময় রাত থাকে।ফলে উত্তর মেরুতে নিদির্ষ্ট কোন ঘড়ি দ্বারা সময় নির্ধারন করা যায় না।শীত কালে এখানকার গড় তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর শীত কালে এখানকার গড় তাপমাত্রা জিরো ডিগ্রী সেলসিয়াস।উত্তর মেরুর প্রধান প্রানী হল মেরু ভাল্লুক আর বরফের নিচে বসবাস কারী কিছু মাছ।
তো আজ এ পর্যন্তই,ভাল লাগলে কমেন্ট করে জানান।আর এ রকম জনা অজানা কিছু জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।
ধন্যবাদ...।
Tags:
Unknown Facts