পৃথিবীর শেষ প্রান্ত কোথায়।Where is the end of the world?

 আসসালামু আলাইকুম

আশা করি সবাই ভাল আছেন।আলহামদুল্লিহ আমিও ভাল আছি।                                                                   মানুষের মনের সবচেয়ে বড় আগ্রহের নাম জানার ইচ্ছা।মানুষের যেন জানার ইচ্ছার কোন শেষ নাই।মহাকাশ থেকে শুরু করে সমুদ্রের গভীরতম জায়গা পর্যন্ত মানুষ জানার শেষ রাখতে চাচ্ছে না।মানুষের মনে যেমন প্রশ্ন ঠিক  তেমনি আছে এই পৃথিবীর রহস্য।আজকে আমরা আলোচনা করব ঠিক এমনি একটা রহস্য নিয়ে।তো চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় চলে।

পৃথিবীর শেষ প্রান্ত



আমাদের মনে কখনো এমন প্রশ্নের উদয় হয় যার উত্তর হয়ত বিজ্ঞানের কাছেও থাকে না।ঠিক এমনি একটা প্রশ্ন আমরা চিন্তা করি সেটি হল পৃথিবীর শেষ প্রান্ত কোথায়?আসলে পৃথিবীর শেষ প্রান্ত বলে কিছু নাই।কারন আমরা সবাই জানি  যে পৃথিবী নামক যে আমরা গ্রহে বাস করি তা দেখতে গোলাকার।আসলে গোলাকার কোন জিনিসের শেষ প্রান্ত বের করা যায় না।তবুও মানুষ মানুষ পৃথিবীর বিশেষ কিছু জায়গাকে বিশেষ কিছু কারনে পৃথিবীর শেষ প্রান্ত হিসেবে বিভেচনা করে।তো চলুন জায়গা গুলো সম্পর্কে আমরা জেনে নেই।

নাম্বার-১                                                                                                                                                              পৃথিবীর ম্যাপের উত্তর ও দক্ষিন দিকে আবস্থিত নরওয়ে।এর নরওয়ের একটি এলাকার নাম চেপটা টুরলটুংগা।আর এই চেপটাটুরলটুংগার একটি রাস্তাকে সেখানের মানুষ পৃথিবীর শেষ রাস্তা হিসেবে মনে করে।কারন এর রাস্তা ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০০০ ফুট উপরে।আর এই রাস্তার শেষে পৃথিবীর আর কোন ভূগোলিক সীমা রেখা নাই।আর এই রাস্তায় কোন মানুষকে একা ভ্রমন করার জন্য নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী পারমিশন দেয় না।কারন ওখান কার তাপমাত্র এতই কম যে সেখানে শুধু বরফ আর বরফ।সেখানে গ্রীষ্ম কালেও বরফ পরে।

নাম্বার-২                                                                                                                                                         আমরা সবাই রাশিয়ার সাথে কম বেশি পরিচিত।বর্তমানে রাশিয়া পৃথিবীর অন্যতম পরাশক্তি।রাশিয়ার একটি এলাকার নাম ইয়ামাল পেনিনসুলা।এই পেইনিনসুলাকে পৃথিবীর অনেক মানুষ পৃথিবীর শেষ প্রান্ত হিসেবে মনে করে।এর বিশেষ কিছু কারন রয়েছে, ইয়ামাল শব্দের অর্থ ভূমির শেষ।আর এই ইয়ামাল কারা সাগড়ের পাড়ে অবস্থিত।অনেক বছর আগে এই কারা সমুদ্রে মাহাকাশ থেকে পড়া বারি কোন বস্তুর আঘাতে বিশাল এক গর্তের সৃষ্টি হয়।যা প্রায় ৭০০ কিঃমি জুড়ে।যার পড়ে পৃথিবীর আর কোন রাস্তা নাই।আর এই বিশাল রয়েছে প্রচুর পরিমানে হাইড্রোজেন গ্যাস মজুদ রয়েছে।তাই সেখানে জসসাধারন প্রবেশ নিষেধ।কিন্তু এই অঞ্চলে প্রচুর পরিমানে পাখির বসবাস রয়েছে।

নাম্বার-৩                                                                                                                                                         দক্ষিন আমেরিকার একটি অবস্থিত একটি দ্বীপের নাম তিয়েরা ডেল ফুয়েগো।এই দ্বীপটি দক্ষিন আমেরিকা মহাদেশের শেষ সীমানা।এই দ্বীপটির বিশাল একটা অংশ আর্জেন্টিনা আর বাকি অংশ চিলেতে অবস্থিত.১৫২০ সালে পর্তুগিজ নাবিক ফার্দিনান্দ ম্যাজেলান এই দ্বীপটী আবিষ্কার করেন এবং নামকরন করেন।মূলত তিয়েরা ডেল ফুয়েগো অর্থই হল পৃথিবীর শেষ সীমানা.১৯ শতকে ব্রিটিশরা এই দ্বীপে অনেক অভিযান চালিয়েছেন।এবং এই দ্বীপে সাধারন মানুষ পৌছাতে পারে না।এই দ্বীপকে পৃথিবীর শেষ সীমানা বলে মনে করেন।

নাম্বার -৪                                                                                                                                                        অনেকেই আবার নরওয়ের রোগাল্যান্ডের একটি পাহাড়ি পর্যটন এলাকাকে পৃথিবীর শেষ সীমান বলে মনে করেন।কারন এই পর্যটন এলাকার পরে আর কোন নির্দিষ্ট সীমা রেখা বুঝা যায় না।

মূলত এসব ধারনা থেকে বুঝা গোলাকার এই পৃথিবীর শেষ বলে কোন সীমা রেখা নাই।যা আছে সব মানুষের ধারনা মাত্র।যা মানুষ নিজের মত করে পৃথিবীর শেষ সীমানা বলে মনে করেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post