সিন্ধুঘোটন সম্পর্কে অজানা তথ্য।Unknown facts about walreus.

আসসালামু আলাইকুম ...
আশা করি সবাই ভাল আছেন।আলহামদুল্লিহ আমিও ভাল আছি।
আমাদের চারপাশে প্রচুর পরিমানে প্রানী রয়েছে।অনেক প্রানী আমরা বাড়িতে পুষি,আবার অনেক প্রানী জঙ্গলে বসবাস করে।আবার অনেক প্রানী পানিতে বসবাস করে।কিছু প্রানী হিংস্র আবার কিছু প্রানী প্রানী খুব নিরহ।আমাদের চারপাশে অনেক প্রানী আছে যা আমরা অনেকেই আগে কখনো দেখিনি সেগুলোর নামও আমরা জানি না।ঠিক তেমনি আজকে আপনাদের সঙ্গে এমন এক প্রানীর সাথে পরিচয় করিয়ে দিব যা আমরা অনেকেই আগে দেখিনি বা যার সম্পর্কে আগে আমরা কখনোই শুনিনি।তো চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় চলে যাই।

সিন্ধুঘোটক-walrus



উপরে যে প্রানীটির ছবি দেখতে পারছেন তার নাম সিন্ধুঘোটক।এরা স্তন্যপায়ী প্রানী।এরা জলে এবং স্থলে সব জায়গায় থাকতে পারে।কিন্তু এরা এদের জীবনের বেশির ভাগ সময় বরফের ভিতরে কাটিয়ে দেয়।এরা দল বেধে থাকতে ও চলাফেরা করতে পছন্দ করে।ইংরেজিতে এদের কে ওয়ালরাস নামে ডাকা হয়।ওলান্দাজ ভাষার ওয়ালভিস শব্দ থেকে ইংরেজি ওয়ালরাস শব্দটি এসেছে। পৃথিবীতে মোট তিনটি জাত আছে এই প্রানীর।একটি হল আটলান্টিক মহাসাগড়ীয় সিন্ধুঘোটক অপরটি প্রশান্ত মহাসাগড়ীয় সিন্ধুঘোটক আর একটি হল লাপতেভ সাগড়ীয় সিন্ধুঘোটক।সিন্ধুঘোটক এর মুখের সামনে হাতির দাতের মত লম্বা দুইটি দাত আছে।এদের মুখে বিড়ালের ন্যায় লম্বা মুছ আছে।এদের মোটা থল থলে।সিন্ধুঘোটকের দেহে প্রচুর পরিমানে চর্বি রয়েছে।প্রশান্ত মহাসাগড়ীয় পুরুষ সিন্ধুঘোটকের ওজন দুই হাজার কেজি পর্যন্ত হতে পারে।ফ্লিপার-পদ প্রানীদের মধ্যে কেবল হস্তি সীল মাছের ওজনই একমাত্র সিন্ধুঘোটকের চাইতে বেশি হয়ে থাকে।সিন্ধুঘোটকের প্রধান খাবার শামুক ও ঝিনুক।এরা সমুদ্রে থাকা শামুক ও ঝিনুক খেয়ে বেচে থাকে।সিন্ধুঘোটক অনেক বছর পর্যন্ত বেচে থাকতে পারে।এরা খুবই নিরহ প্রানী ও সামাজিক প্রানী।এরা সমুদ্রের অগভীর পানিতে বসবাস করে।সব থেকে মজার বেপার হল সিন্ধুঘোটক নারীরা সন্তান প্রসব করে না।নারীদের বদলে পুরুষেরা সন্তান প্রসব করে।একটা নারী সিন্ধুঘোটক চার সপ্তাহ আগে একটা পুরুষ সিন্ধুঘোটক এর দেহে ডিম্বানু দিয়ে চলে যায় এবং চার সপ্তাহ পর যখন সন্তান বড় হয়,তখন তারা সন্তানগুলোকে পানিতে ছেড়ে দেয়।এবং আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে।বাচ্চা প্রসব করার পর তার সঙ্গী আবার ফিরে আসে।এদের সঙ্গী কখনো এদের ছেড়ে চলে যায় না,যে পর্যন্ত না সে মারা যায়।একটি সিন্ধুঘোটক একসাথে ২০ থেকে ২০০ টি বাচ্চা প্রসব করতে পারে।
পৃথিবীর উত্তর মেরুতে বসবাস কারী অধিবাসীদের এক সময়কার প্রধান খাবার হয়ে উঠেছিল এর সিন্ধুঘোটক।বর্তমানেও তারা এই সিন্ধুঘোটক শিকার করে চলেছে।সিন্ধুঘোটকের দাত চর্তি ও মাংস অধিবাসীরা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে।উনিস বিশ শতকে ব্যানিজ্যিক ভাবে সারা পৃথিবীতে এদের মাংস চর্তি ও দাত রপ্তানীর  জন্য সিন্ধুঘোটক ধরা শুরু হয়েছিল।ফলে সিন্ধুঘোটকের সংখ্যা আশঙ্ক্যাজনক ভাবে কমে গিয়েছিল।বর্তমানে সিন্ধুঘোটকের সংখ্যা সারা পৃথিবীতে বাড়লেও আটলান্টিক ও লাপতেভ সাগড়ে এখনো সিন্ধুঘোটকের সংখ্যা বাড়েনি।
তো আজ এ পর্যন্তই ভাল লাগলে কমেন্ট করে জানান।আর এরকম জানা অজানা কিছু জানতে চাইলে আমাদের সাথেই থাকুন।
ধন্যবাদ।

Post a Comment

Previous Post Next Post