আসসামু আলাইকুম
আশা করি সবাই ভাল আছেন?আলহামদুল্লিহ আমিও ভাল আছি।আজকে আপনাদের সামনে খুব গুরুত্বপূর্ন একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।তো চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় চলে যাই।
বর্তমানে সারা দেশে এই জোঁকের বিস্তার লক্ষ্য করার মত।জোঁক দেখে প্রায় অনেক মানুষ ভয়ে পালিয়ে যাওয়ার মত একটা অবস্থা।আবার অনেকে এই জোঁক দেখে মোটেও ভয় পায় না।অনেকে মনে করে জোঁকের কামড় হয়ত সাপের মত বিষাক্ত।কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে জোঁকের কামড় মোটেও বিষাক্ত নয় বরং এর জোঁকের কামড় মানব দেহের জন্য খুব উপকারী।আবার আপনাকে যদি মাত্রাত্রিক্ত ভাবে বেশি জোঁকে ধরে হয়ত এটা আপনাকে পরে একটা যন্ত্রনা দিবে।কামড় দেওয়া জায়গায় আপনার চুলকানী অনুভব হতে পারে।তো চলুন আগে আমরা জোঁকের কিছু প্রকার ভেদ সম্পর্কে জেনে নেই।
আমাদের দেশে আমরা দুই ধরনের জোঁক দেখতে পাই।তার মধ্যে একটা হল পানিতে থাকে আর অপরটি হল ঘাসে থাকে।যেটি ঘাসে থাকে তাকে আমরা চিনা জোক নামে চিনি আর যেটি পানিতে থাকে তাকে আমরা পাইনা জোঁক নামে চিনি।আমাদের জন্য বড় আতঙ্ক হল যেটি ঘাসে থাকে।কারন আমরা বিভিন্ন সময় রেষ্ট বা আড্ডা দেওয়ার জন্য ঘাসের উপর বসে থাকি।আর তখনি আমাদের শরীরে এই জোঁক উঠে যায় এবং শরীরের রক্ত শোষন করতে থাকে।জোঁক আমাদের শরীরে এমন ভাবে উঠতে থাকে যা বোঝার কোন উপায় থাকে থাকে এবং আমাদের শরীরে এমন ভাবে সে কামড় দেয় বুঝার কোণ উপায় নেই।এবং জোঁক দ্রুত রক্ত খেয়ে আবার নিজে নিজে ছেড়ে চলে যায়।আসলে জোঁকের কামড় বুঝা না যাওয়ার জন্য জোকের রয়েছে একটি দারুন ক্ষমতা।কারন জোঁক খুব হালকা একটা প্রানী তাই শরীরে উঠার সময় এর উপস্থিতি আমরা টের পাই না।আবার আপনার মনে হতে পারে আমাদের শরীরে একটা ছোট কাটার আচড় লাগলে আমরা কত ব্যথার অনুভব করি কিন্তু জোঁক আমাদের শরীরে কামড় দিয়ে রক্ত শোষে নেয় তারপরেও আমরা কেন তা জানতে পারি না।কারন জোঁক আমাদের শরীরে কামড় দেওয়ার আগে এন্টিকোয়াগুল্যান্ট(anticoagulant) নামের এক প্রকার পদার্থ আমাদের শরীরে তারা প্রবেশ করার যার ফলে সেখানকার রক্ত পাতলা হয়ে যায় এবং আমরা ব্যথার অনুভব পাই না।কিন্তু জোক ছেড়ে যাওয়ার পর আমরা সেই স্থানে বেশি রক্তপাত ও চুলকানির অনুভব করি।
এবার আসি জোকের কামড় কিভাবে মানব দেহের জন্য উপকারী।
একটা জোক ২ থেকে ১৫ মিলিলিটার পর্যন্ত রক্ত শোষন করতে সক্ষম।আর জোক এমন একটা প্রানী যা মানুষের দেহের দূষিত রক্ত শোষন করে।সেই সঙ্গে মুখ থেকে এক ধরনের লালা মিশিয়ে দেয় রক্তে।যাতে হিরুডিন, ক্যালিক্রেইন, ক্যালিনের মতো কিছু উৎসেচক থাকে।আর যা রক্তে বিষাক্ত কোন উপাদান থাকলে দূর করতে সাহায্য করে।আর দূষিত রক্ত শোষন করে দ্রুত রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে।আর জোকের কামড় দেওয়ার সময় জোকের শরীর থেকে ডেস্টাবিসেস নামের এক ধরনের প্রোটিন মানুষের শরীরে দেয়।যা বহু শক্তিশালী জীবানুকে ধ্বংস করে।শুধু তাই নয় জোকের কামড় মানুষের জোয়েন্ট ব্যথায় ভাল করতে সাহায্য করে।অনেক আগে মানুষের রোগ নিরাময়ের জন্য জোক থ্যারাপি দেওয়া হত।তো বুঝতেই পারছেন জোক মানুষের কত উপাকারে আসতে পারে।
তো আজ এ পর্যন্তই ভাল লাগলে কমেন্ট করে জানাবেন।আর জানা অজানা কিছু জানতে চাইলে আমাদের সাথেই থাকুন।
ধন্যবাদ