আসসালামু আলাইকুম।
আশা করি সবাই ভাল আছেন।আলহামদুল্লিহ আমিও ভাল আছি।টপিক দেখে বুঝতেই পারছেন আজকে খুব গুরুত্বপূর্ন একটা বিষয় নিয়ে কথা বলব।তো চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় চলে যাই।
সময়ের সাথে সাথে মানুষ কম এমন কিছু আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে যা আমাদের কল্পনাকেও হার মানাবে।এমন সব কিছুই আবিষ্কার করা সম্ভব হয়েছে পৃথিবীর কিছু বিজ্ঞানীর অক্লান্ত মেধা আর পরিশ্রমের ফলে।কিন্তু একটা সময় এই সময় দেখার জন্যই কোন ঘড়ি ছিল না।মানুষ আস্তে আস্তে এই ঘড়ি আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে।তো চলুন জেনে নেই কিভাবে আবিষ্কার হলো ঘড়ি।
ঘড়ি হলো এমন একটি যন্ত্র যা দ্বারা সময় নির্ধারন করা হয়।মিশর ও ব্যাবলিয়নে আজ থেকে প্রায় থেকে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার বছর আগে প্রথম ঘড়ির আবিষ্কার হয়।এই ঘড়ির কোন মিনিটের কাটা ছিল না।শুধু মাত্র ঘন্টা নির্দেশক একটা কাটা ছিল।ঘড়ি আবিষ্কারের ক্ষেত্রে নিদিষ্ট কোন আবিষ্কারকের নাম পাওয়া যায় নি।কিন্তু পৃথিবীতে যে ঘড়িটি প্রথম আবিষ্কার হয় তার নাম সূর্য ঘড়ি।তো চলুন জানি সূর্য ঘড়ি কি কিভাবে আবিষ্কার হল।
সূর্য ঘড়ি হল এমন একটা ঘড়ি যা শুধু মাত্র ঘণ্টা নির্দেশ করতে পারত।কিন্তু এই ঘড়ি সঠিক সময় নির্দেশ করতে পারত না কারন এই ঘড়তি কোন মিনিট ও সেকেন্ডের কাটা থাকত না।এই ঘড়ি বানানো হত নিদির্ষ্ট একটা জায়গায় যেখানে সারাদিন সূর্যের আলো সমানভাবে প্রতিত হত।এই ঘড়ি আবিষ্কারের জন্য সেই জায়গায় গোলাকৃতির একটা দাগ দেওয়া হত।দাগের ঠিক মাঝখানে একটা লম্বা লাঠি পুতে দেওয়া হত।যা সূর্যের আলো পড়ে গোল দাগের চারদিকে ছায়ার সৃষ্টি করত যা দ্বারা তারা এই দাগে সময় নির্ধারন করত।তা থেকেই তখনকার সময় হিসাব করা হত।
ঘড়ি আবিষ্কারের পর প্রায় ৫০০ বছর সময় লেগে যায় এই ঘড়ি মানুষের হাতে আসতে। ১৫২৪ সালে পিটার হেনেলিন প্রথম পকেট ঘড়ি আবিষ্কার করেন। ১৯০০ সালের পূর্বে অধিকাংশ ঘড়িই ছিল পকেট ঘড়ি.১৯৭০ সালে প্রথম ঘড়িতে মিনিট ও সেকেন্ডের কাটা দেওয়া হয়।এবং ১৯৯৭ সালে প্রথম ডিজিটাল ঘড়ি বাজারে আসে।
তো আজ এ পর্যন্তই ভাল লাগলে কমেন্টে জানান এবং বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিন।আর এই রকম অজানা তথ্য জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।
ধন্যবাদ...।