মৌমাছি কিভাবে মৌচাক বানায়।How bees make hives?

আসসালামু আলাইকুম।
আশা করি সবাই ভাল আছেন।আলহামদুল্লিহ আমিও ভাল আছি।আজকে আপনাদের সামনে খুবই গুরুত্বপূর্ন টপিক নিয়ে আলোচনা করব।তো চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় চলে যাই।

মৌমাছি




মৌমাছি চিনে না বা মধু খায় না এমন মানুষ পৃথিবীতে পাওয়া খুব দুষ্কর।কারন মৌমাছির সুস্বাদু মধু আর মৌমাছির বিষাক্ত কামড় মোটামূটি কম বেশি আমরা গ্রহন করেছি।কিন্তু একবারো চিন্তা করেছেন কিভাবে এই ছোট প্রানীগুলো এতো সুস্বাদু মধু আপনাকে খাওয়ার জন্য উপহার দেয়।তা জানতে হলে আপনাকে আগে জানতে হলে মৌমাছি সম্পর্কে।মৌমাছি হল বোলতা ও পিপড়ার সাথে সম্পর্ক যুক্ত মধু তৈরি কারী এক প্রকার ছোট পতঙ্গ।পৃথিবীতে প্রায় ২০ হাজার প্রজাতির মৌমাছি রয়েছে।এবং প্রায় ৯ টি ফ্যামিলিতে রয়েছে এই ২০ হাজার প্রজাতির মৌমাছি।কম বেশি প্রায় সব প্রজাতির মৌমাছিই মধু তৈরি করতে সক্ষম।মৌমাছির দেহ তিনভাগে বিভক্ত।এদের দেহের ওজন সবোর্চ ৩ থেকে ৫ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে।এদের এক জোড়া ডানা আছে।মৌমাছির দেহের সাইজ এক থেকে দের সেন্টিমিটার হয়ে থাকে।এরা খুব এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারে।মৌমাছিরা সমাজ বন্ধ ভাবে থাকতে পছন্দ করে।কাজের ভেদে এদেরকে তিন ভাবে ভাগ করা হয়.
১।রানী মৌমাছি।
২।পুরুষ মৌমাছি।
৩। শ্রমিক মৌমাছি।
আমাদের দেশে সাধারনত ৮ থেকে ১০ রকমের মৌমাছি দেখতে পাওয়া যায়।আবার কয়েক প্রজাতির বোলতা দেখতে পাওয়া যায় তারা প্রায় মৌমাছির মতই বাসা বানায় কিন্তু তাদের বাসা থেকে মধু পাওয়া যায় না।এই প্রজাতির বোলতা গুলো ছিল মৌমাছির পর্ব পুরুষ।
এবার চলুন জেনে নেই মৌমাছি কিভাবে মধু তৈরি করে।
শ্রমিক মৌমাছি মধু তৈরির জন্য কাজ করে।এক চামচ মধু তৈরির জন্য একটা শ্রমিক মৌমাছির প্রায় ৩০ হাজার ফুলের কাছে যেতে হয়।আর এর জন্য প্রায় একটা মৌমাছিকে ৩ দিন ধরে পরিশ্রম করতে হয়।আর পুরুষ মৌমাছিরা এই চাকের মৌচাকের বাইরে এবং ভিতরে সর্বক্ষন পাহাড়া থাকে,যাতে বাইরের  কোন মৌমাছি এই চাক থেকে মধু না নিতে পারে।যদি কোন মৌমাছি  চাক থেকে মধু নিতে আসে তবে রানীর আদেশে তাকে মেরে ফেলে হয়।মৌমাছিরা মধু সংরক্ষনের  জন্য বিশেষ ভাবে খুদ্র খুদ্র প্রকোষ্ঠ তৈরি করে।এবং সেখানে মধু জমা রাখে।আর এই প্রকোষ্ঠের ফাকা জায়গায় মহিলা শ্রমিক মৌমাছি ডিম পাড়ে।আর এই প্রকোষ্ঠ গুলো তৈরি করা হয় মোম জাতীয় পদার্থ দিয়ে।মৌমাছি নিজেই দেহাভ্যন্তরে মোম তৈরী করে।একটা শ্রমিক মৌমাছির  দেহে আটটি ক্ষুদ্র গ্রান্ড থাকে।এই গ্রান্ড থেকে মোমশুল্ক নিঃকৃত হয়।আর মোম জাতীয় পদার্থ থেকেই তৈরি হয় মৌচাক।যা প্রথমে থাকে সাদা।পরে আস্তে আস্তে ঈষদচ্ছ বর্ন ধারন  করে।সহস্রাধিক মোমশ্বল্ক থেকে এক গ্রাম মোম পাওয়া সম্ভব। ফুল ছাড়াও মৌমাছি বিভিন্ন উপায়ে মধু তৈরি করে যেমন বিভিন্ন জীবত গাছের রস এবং তাদের দেহের থেকে নিসৃত পদার্থ দিয়ে।এই ভাবেই পরিশ্রমের মধ্য মৌমাছি আমাদের সুস্বাদু মধু দিয়ে থাকে।
মৌমাছি ছোট প্রানী হলেও মৌমাছি মানুষের জীবনে বিভিন্ন ভাবে সব সময় উপকার করতে থাকে।যেমন সপুষ্কক উদ্ভিদের ফল উৎপাদন হতে মৌমাছি গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে।কারন ফুলের মধ্যে পরাগায়ন প্রক্রিয়া সম্পূর্ন করে মৌমাছি।শুধু তাই নয় মৌমাছির বিষাক্ত হুল কাজ করে বাত ব্যথার মহা ঔষধ হিসেবে।এই বাত ব্যথার জন্য বর্তমানে মৌমাছির হুলের বিষ বিক্রি করা হচ্ছে।
তো আজ পর্যন্তই।ভাল লাগলে কমেন্টে জানান আর এই রকম রহস্যময় কিছু জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।
ধন্যবাদ......।

Post a Comment

Previous Post Next Post