আসসালামু আলাইকুম...।
মা এমন একটি শব্দ।যে শব্দটি শুনতে পৃথিবীর সব মেয়েরি মনের একটি আশা।কিন্তু সেই মা ডাক শুনার আশা কিন্তু নির্দিষ্ট একটা বয়সে গিয়ে পৌছানোর পর।একটা উপযুক্ত বয়সে পৌছানোর পর,বিয়ে সাধী হওয়ার পর।কিন্তু আজকে আমি আপনাদের জানাব বিশ্বের সবচেয়ে অল্প বয়সে স্বামী ছাড়া হওয়ার গল্প।হয়ত আপনার আমার টাইটেল দেখে অনেকেই তা বুঝতে পেরেছেন।তো চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনার চলে যাই।
লিনা মার্সেলা মেডিনা ডি জুরাডো
পৃথিবীর সবচেয়ে সর্বকনিষ্ঠ মা বা পৃথিবীর সবচেয়ে অল্প বয়সে মা।নাম তার লিনা মেডিনা।তাইর জন্ম পেরুতে।তিনিই পৃথিবীর সবচেয়ে সর্বকনিষ্ঠ মা অর্থাৎ তিনিই পৃথিবীতে সবচেয়ে অল্প বয়সে মা হয়েছিলেন।তার চেয়ে অল্প বয়সে পৃথিবীতে এখনো কেউ মা হতে পারেনি বা ভবিষ্যতে কেউ পারবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন না বিজ্ঞানীরা।লিনা মেডিনা প্রথম মা হন মাত্র ৫ বছর সাত মাস ২১ দিন বয়সে,এবং তিনি একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন।কিন্তু তার তখনো বিয়ে হয়নি।কারন এতো অল্প বয়সে কখনো কারো বিয়ে হয় না।কিন্তু ডাক্তাররা বলেন লিনার এতো অল্প বয়স থাকলেন,তখনো তার যৌনাঙ্গ ছিল কিশোর বয়সী মহিলাদের মত পক্ক।হয়ত আপনি এটা দেখতেছেন আর চিন্তা করতেছেন লিনা তো মা হলো তাহলে বাবা কে।আসলে লিনা মেডিলা কার মাধ্যমে গর্ভবতী হন তা এখনো পৃথিবীর মানুষের কাছে অজানা।লিনা মেডিলা প্রথম যখন বুঝতে পারেন তার পেট উচু হচ্ছে, তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।ডাক্তাররা স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তা করেন লিনা মেডিলার পেটে টিউমার হয়েছে।কিন্তু পরে যখন এই বিষয়ে পরিক্ষা করা হয় তখন বেরিয়ে আসে আসল সত্য।লিনা মেডিলার সন্তান জন্ম হওয়ার পর লিনা মেডিলার বাবাকে সন্দেহ করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।কিন্তু পরবর্তীতে কোন প্রমান না পাওয়া গেলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এখন চিন্তা হল লিনা মেডিলা এতো অল্প বয়সে মা হলেন কিভাবে,তো চলুন এই বিষয়েও আমি আপনাকে ধরনা দেওয়ার চেষ্টা করছি।শুরুতেই বলেছি লিনা মেডিলার বয়স পাঁচ বছর হলেও তার যৌনাঙ্গ ছিল প্রাপ্ত বয়স্কদের মত।বিশেষজ্ঞরা ধারনা লিনা মেডিলা মাত্র আড়াই বছর বয়সে ঋতুচ্রাপ শুরু হয়।তাই এতো কম বয়সে তার সাথে কেউ যৌন সম্পর্ক স্থাপনের কারনে সে অল্প বয়সে গর্ভবতী হয়ে যান।লিনা মেডিলার সন্তান ১০ বছর বয়স পর্যন্ত তাকে বোন মনে করে।আস্তে আস্তে সে যখন বুঝতে শিখেন পরে তার সে ধারনার পরিবর্তন হয়।
তো আজ এ পর্যন্তই এই রকম জানা অজানা কিছু জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।
ধন্যবাদ...।