এক্স-রে মেশিন আবিষ্কার করেন কে এবং কিভাবে।।Who invented X-ray machine and how?

আসসামুয়া আলাইকুম

আশা করি ভাল আছেন?আলহামদুল্লিহ আমিও ভাল আছি।আজকে একটা গুরুত্বপূর্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।তো চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় চলে।আমরা কম বেশি সবাই হাসপাতালে কম বেশি গিয়ে থাকি।এবং সেখানে গিয়ে আমার এক্স-রে নামের একটা মেশিন দেখেছি।যার বাংলা নাম রঞ্জন রশ্নি।যা দ্বারা মানুষের শরীরের ভিতরে থাকা হার পর্যবেক্ষন করা হয়।কিন্তু আপনি কি জানেন এই এক্স-রে মেশিন বা রঞ্জন রশ্নি একটা ভুল থেকে আবিষ্কার হয়েছে।তো চলুন জেনে কে এবং কি ভুল থেকে এই অসাধারন আবিষ্কার হয়েছে।যা আমাদের চিকিৎসা বিজ্ঞান কে এতো উন্নত করেছে।

ভিলহেল্ম কনরাড র‌ন্টগেন

ভিলহেল্ম কনরাড র‌ন্টগেন(১৮৮৫-১৯২৩)

এই জার্মান পদার্থবিদ পদার্থবিদ আলোক রশ্নি বা রঞ্জন রশ্নি আবিষ্কার করেন।তার জন্ম ২৭শে মার্চ ১৮৮৫ সালে।তিনি রন্টগেন ইটিএইচ জুরিখে যন্ত্র কৌশল গভেষনা নিয়ে পড়াশুনা করেছেন।ভিলহেন্ম কনরাড রন্টগেন ১৮৯৬৯ সালে জুরিখে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করেন.১৮৭৪ সালে তিনি স্ট্রাসভোগ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগ দান করেন।এবং তিনিই প্রথম পদার্থ বিজ্ঞানী হিসেবে নোবেল পুরষ্কার অর্জন করেন.১৯০১ সালে এক্স রশ্নি ও এই ধরনের রশ্নির যথাপযোক্ত ব্যবহারে জন্য নোবেল পরষ্কার পান।রন্টগেন ১০ ফেব্রুয়ারী ১৯২৩ সালে পরলোক গমন করেন।এবং ২০০৪ সালে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব পিওর কেমেস্ট্রি তে তার নাম অনুসারে ১১১ তম মৌলের নাম রাখা হয় রেন্টগেনিয়াম।

এবার চলুন জেনে নেই কিভাবে আবিষ্কার করলেন এই যন্ত্র।

রঞ্জন রশ্নি বা এক্স-রে আবিষ্কার।

x-ray

১৮৯৫ সালে জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী ভিলহেল্ম কনরাড র‍্যোন্টগেন তার গভেষনাগারে ক্যাথড রশ্নির বা ইলেক্ট্রনিক রশ্নির কাজ  সম্পর্কে পরীক্ষা চালানোর সময় আশ্চার্য জনকভাবে কিছু রশ্নি আভিষ্কার করেন।এই রশ্নি গুলোর নাম না জানার কারনে তিনি এর রশ্নি নাম দেন এক্স রশ্নি।এবং তিনি নাটকীয়ভাবে তার ওয়াইফ এর হাতের একটা আলোক চিত্র বা এক্স-রে ছবি প্রদর্শন করেন।পরবর্তীতে তার নাম অনু্যায়ী এই আলোক চিত্রের নাম দেওয়া হয় রঞ্জন রশ্নি।
কোনও তড়িৎ-চুম্বকীয় বিকিরণের তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত ছোট হয়, সেটির পদার্থ ভেদ করার ক্ষমতা তত বেশি হয়। তাই রঞ্জনরশ্মিগুলি পদার্থকে ভেদ করে অতিক্রম করতে পারে। এভাবে ভেদ করা রঞ্জনরশ্মিগুলিকে আলোকচিত্রগ্রাহী পর্দা ও অন্যান্য ধরনের শনাক্তকারকের সাহায্যে লিপিবদ্ধ করা যায়।

তো আজ পর্যন্তই।ভাল লাগলে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করুন।

Post a Comment

Previous Post Next Post