আসসামু আলাইকুম...
স্পেন- ইউরোপ মহাদেশের দক্ষিন পশ্চিম কোনে অবস্থিত একটি বাষ্ট্র।এটি ইউবেরিয় উপদ্বিপের ৮৫% অঞ্চল জুড়ে অবস্থিত।স্পেনের আয়তন ৫০,০৫,৯৯০ বর্গ কিলোমিটার।
স্পেনের রাজধানী ও বৃহত্তম নগরীর নাম মাদ্রিদ।আজকের এই পর্বে জানব স্পেনের কিছু বিষ্ময় করা অজানা তথ্য।
বিশ্বেরে ৩০ তম বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ স্পেন।স্পেনের মোট জনসংখ্যার পরিমান ৪,৬৩,৫৪,৩২১ জন।মাথা পিছু আয়ের পরিমান ২৮,২১২ মার্কিন ডলার।স্পেনের রাষ্ট্রীয় ভাষার নাম স্পেনীয়।
এছাড়াও কিছু স্বায়ত্ব শাসিত অঞ্চলিক ভাষা রয়েছে এই দেশে।স্পেনের জনসংখ্যার মোট ৬৮% মানুষ রোমান ক্যাথলিক বা খ্রিষ্টান ধর্মের অনুসারী ২৭% মানুষ কোন ধর্মই বিশ্বাস করে না।
আর বাকী ২% মানুষ অন্যান্য ধর্মের অনুসারী রয়েছে।স্পেনের জাতীয় মুদ্রার নাম ইউরো।
স্পেনের রাষ্ট্র হওয়ার পিছনে রয়েছে প্রাচীন ইতিহাস। ১৯ অক্টোবর ১৪৪৬ সালে ইউনিয়ন অফ ক্যাষ্টাইল এর হাতে চলে যায় স্পেন।পরবর্তী ২৭ বছর পর ৪ আগষ্ট ১৪৯৬ খ্রিষ্টাব্দে
হলি রোমান সম্রাজ্য থেকে ১লা নভেম্বর ১৭০০ খ্রিষ্টাব্দে নিজ নামে স্বাধীনতা লাভ করে এই দেশটি।এর পর রাজতন্ত্র থেকে প্রজাতন্ত্র এবং সর্বশেষ১৯ মার্চ ১৮১২ সালে সংবিধান প্রকাশ করে স্পেন।
১৬শ শতাব্দী থেকে ১৭শ শতাব্দীর অর্ধভাগ পর্যন্ত স্পেন ছিল পৃথিবীর অন্যতম পরাশক্তি।মধ্যযুগের প্রথম দিকে এটি জার্মান শাসনাধীন থাকলেও পরবর্তীতে এটি মুসলিমগন জয় করেন।
প্রায় ৭০০ বছর মুসলিম দ্বারা শাসন হয় দেশটি ১৯৪২ সালে কলম্বাস যখন অজানা দ্বীপ আমেরিকায় পৌছায় তখন মুসলিম শাসনের শেষ চিহ্নটুকুও নিচিহ্ন হয়ে যায় স্পেন থেকে।
বর্তমানে খ্রিষ্টান শাষিত এই দেশ।স্পেনের রয়েছে ৭ হাজার ৮০০ বর্গকিলোমিটারের সমুদ্রসীমা।এবং দেশটির সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্খের নাম তৈইদে।যার উচ্চতা ৩৭১৮ মিটার।
ফুটবল হচ্ছে স্পেনের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা।স্পেন একবার ফুটবল বিশ্বকাপ জয় করেছে।এছাড়াও স্পেনের রয়েছে বহুল ঐতিহ্য ও উৎসব।স্পেনের নারী পুরুষদের রয়েছে পোশাক
পরিধানের স্বাধীনতা।কোন মেয়ে ইচ্ছা করলে নগ্ন হয়েও যেকোন জায়গায় যেতে পারে।স্পেনে বিবাহ বিচ্ছেদের হার খুব কম।স্পেন এতো খোলা মেলা হলেও মাত্র ৫% শিশু অবিবাহিত
মাতা পিতার কাছে জন্মগ্রহন করেন।
স্পেনের রয়েছে বিভিন্ন বাৎসরিক উৎসব।লাতোমাটিনা হলো স্পেনের একটি বার্ষিক উৎসব।এই উৎসবের দিন লোকেরা একে অপরের দিকে টমেটো ছুড়ে মারে।দেড় লাখেরও বেশি টমেটো কাটা
হয় এই উৎসবের দিন।স্পেনের জাতীয় সংগীতে কোন ভাষা নেই।লোকেরা শুধু দাড়িয়ে নিজ দেশের পাতাকাকে সম্মান জানায়.২০১৩ সালে ফ্রান্স ও আমেরিকার পরে স্পেন ছিলো তৃতীয় পর্যটন কেন্দ্র।
স্পেনের রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীনতম বাতিঘর টাওয়ার অব হারকিউলিস।এটি প্রথম শতাব্দীতে নির্মান করা হয়েছিল।যা আজও চলমান রয়েছে।স্পেনে প্রতি বছর বুলস উৎবের
আয়োজন করা হয়।প্রতি বছর ১০ মিলিয়নের বেশি মানুষ এটি দেখতে আসে।যাতে স্পেনিস লোকেরা ষাড় নিইয়ে রাস্তায় নামতে পারে।
আজ এ পর্যন্তই ভাল লাগলে লাইক কমেন্ট ও বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিন।
ধন্যবাদ