বিশ্বের সবচেয়ে ধনি ব্যাক্তি কে ছিলেন।।Who was the richest person in the world?

 আসসামু আলাইকুম

সম্মানিত গ্রাহক আপনাকে ধন্যবাদ আমাদের বিডিষ্টোরির পক্ষ থেকে।আজকে আপনাদের জানাব পৃথিবীর সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ধনী ব্যাক্তি কে ছিলেন।তো চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে নেই কে ছিলেন পৃথিবীর সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ধনী

ব্যাক্তি।আচ্ছা আপনাকে যদি কেউ জিজ্ঞেস করে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যাক্তি কে ছিলেন।আপনি হয়ত চোখ বন্ধ করে বলবেন, বিলগেটস বা জেফ বুজেস আর মার্কজুকার এর নাম।কারন বর্তমান পৃথিবীর 

ধনী ব্যাক্তিদের মধ্যে এরাই সর্বশেষ্ঠ।কিন্তু আপনি জেনে অবাক হবেন বিশ্বের সর্বকালের শেষ্ঠ ধনির সম্পদের ধারের কাছেও যেতে পারেনি বর্তমান বিশ্বের ধনি ব্যাক্তিরা।এমনকি ইতিহাসের কোন রাজাও ছুতে পারেনি

তার সম্পদের পরিমান। ২০১৮ সালে ফোর্বস এর তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যাক্তি জেফ  বেজোস।তার সম্পদের পরিমান ছিল ১২০ বিলিয়ন ডলার।তার পর মাইক্রোসফটের বিল গেটস।তার সম্পদের পরিমান ছিল ৯০ মিলিয়ন ডলার।

তার পরের অবস্থানে ছিল মার্কিন সংস্থা বার্কশায়ার হাথাওয়েন ওয়ারেন বাফেট।যার সম্পদের পরিমান ছিল ৮৫ বিলিয়ন ডলার।এবং ভারতের মধ্যে সবচেয়ে ধনী ব্যাক্তি ছিলেন মুখেশ আম্বানি ।তার সম্পদের পরিমান ছিল ৩৯ 

বিলিয়ন ডলার।কিন্তু আমি যার কথা বলব তার সম্পদের পরিমান জানেন কত?৪০০ বিলিয়ন ডলার।

মানসা মুসা


তার নাম হলো মানসা মুসা।তিনি বর্তমানে সবচেয়ে গরিব দেশ আফ্রিকার প্রদেশ মালির রাজা ছিলেন।মুসা কেইটা ১৩৩২ সালে সিংহাসনে বসেন।সিংহাসনে বসার পর তার নামকরন করা হয় মনসা মুসা।

এতক্ষন হয়তা আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেছে আফ্রিকার মত একটা গরিব দেশের রাজা কিভাবে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ধনী ব্যাক্তি হলেন।প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক।ইতিহাসবিদরা বলছেন,সে সময়ের পরিস্থিতি ছিল বর্তমান সময়ের থেকে একদম উলটো।

আফ্রিকা ছিল তখন সম্পদের পাহাড়।কারন মালি রাজ্যে ছিল প্রচুর পরিমান প্রকৃতিক সম্পদ।প্রকৃত অর্থে মালির মাটিতে সে সময় সোনাই ফলত।আর সেই সোনাই তাকে পৃথিবীর সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ ধনী ব্যাক্তিতে পরিনিত করে।

প্রচুর পরিমান সোনার খনি ছিল মালিতে।আর মনসা মুসাই সর্ব প্রথম খনির সন্ধান পান।ক্ষমতায় আসার পর মুসা তার সমরাজ্যের বিস্তৃতি শুরু করেন।।ইতিহাসবিদদের মতে ১৩২৪ সালে তিনি মক্কা যাত্রা করেন।

৪ হাজার মাইলের এই যাত্রায় তিনি অফুরন্ত ধন্দৌলত আর বিশাল বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে ছিলেন।আর মুসার সামনে ছিল ৫০০ সেনা যারা শুধু মাত্র সোনা বয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন।এবং যাত্রা পথে তিনি বিভিন্ন জায়গায় ও দেশে সোনা দান করেছিলেন।

ইতিহাসবিদদের দাবি মিশর ও কাইরোতে তারা এতো পরিমান সোনা দান করেছিলেন যে সেখানে মুদ্রাস্ফুতি দেখা দিয়েছিল।আর এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে অনেক সময় লেগেছিল।মানসা মুসা ১৩৩৭ সালে মারা যান।

এরপর তার ছেলে সিংহাসনের দাড়িত্ব নেন।

তো আজ এ পর্যন্তই লেখাটি ভাল লাগলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিন।

ধন্যবাদ সবাইকে।

Post a Comment

Previous Post Next Post