আসসামু আয়ালাইকুম...
আশা নয় বিশ্বাস সবাই ভাল আছেন?আলহামদুল্লিহ আমিও ভাল আছি।তো আজকে আমি আপনাদেরকে ঘুরতে নিয়ে যাব সেই প্রাচীন কালে।যখন ছিলো না কোন মোবাইওল ফোন
ছিলো না বিদ্যুৎ,ছিল না কোন প্রযুক্তি।কিছুই ছিল না তাদের কাছে।আপনি চিন্তা করেন আপনি প্রাচীন যুগে আছেন।হঠাৎ আপনার মনে হল আজকে কত তারিখ অথবা আজকে মাসের কয় দিন।
তখনি কিভাবে বুঝতেন?তো চলুন জেনে নেই আপনি কিভাবে বুঝতেন তখনকার সময়।
আসলে মানুষ যেদিন থেকে বর্ষগুনা করতে শিখল সেদিন থেকে চাদের হিসেবে শুরু হয় বর্ষগণা।সঠিক সময়ে চাষাবাদের তাগিদে ব্যাবিলন ও প্রাচীন মিশরে সর্বপ্রথম চাদের হিসেবে বর্ষগননা
প্রচলন শুরু হয়।ব্যাবিলনরা চাদের হিসিবে ২৯ বা ৩০ দিনে মাস ধরে ৩৫৪ দিনে বর্ষ গননা শুরু করেন।প্রাচীনকাল মিশরীয়রাই প্রথম সূর্্যের হিসেবে ৩৬৫ দিনে বর্ষ গননা শুরু করেন।
পরে খ্রিষ্টপূর্ব রোমান সম্রাট জোলিয়াস সিজার জ্যোর্তিবিদ সোসিজেনের পরামর্শে মিশরীয় বর্ষপঞ্জির ভিত্তিতে লিপ ইয়ারসহ ৩৬৫ দিনের একটি যথার্থ বর্ষপঞ্জির প্রকাশ করেন।
কিন্তু এটি সৌর বছর থেকে ১১ মিনিট ১৪ সেকেন্ড বেশি ছিল।তাই একে ঠিক করার জন্য ১৫৮২ খ্রিষ্টাব্দে পোপ ত্রায়োদেশ গ্রেগরি লিপিয়ারের ক্ষেত্রে সামান্য পরিবর্তন এনে নতুন করে
বর্ষপঞ্জির প্রকাশ করেন।যা গ্রেগরীয় পুঞ্জি নামের বিশ্ব জুড়ে গৃহিত হয়।অন্যদিকে ধর্মীয় মতে আদি পিতা হযরত আদম (আ) এর পৃথিবীতে আগমনের সময় থেকে বর্ষ গগনা শুরু হয়েছে বলেও
মনে করা হয়।এভাবে হযরত ঈসা (আ) এর জন্ম থেকে সৌরভিত্তিক খ্রিষ্টাব্দ ও এবং শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (স) - এর ঐতিহাসিক হিজরতের ঘটনা স্মরনে ৬২২ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ খুলাই থেকে চন্দ্রভিত্তিক হিজরি
বর্ষপঞ্জির চালু হয়। আবার ইসলামী শাসন আমলে বঙ্গদেশে সম্রাট আকবর ৯৬৩ হিজরি থেকে সৌরভিত্তিক বঙ্গাব্দ নামে বর্ষপঞ্জি চালু করেন।বর্তমান বিশ্বের বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর মধ্যেও রয়েছে নানা ধরনের বর্ষপঞ্জির প্রচলন রয়েছে।
আশা করি বুঝতে পারছেন প্রাচীনকালে কিভাবে গগনা করতেন দিন বা মাস।
তো আজ এ পর্যন্তই লেখাটি ভাল লাগলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিন।
আর নতুন নতুন জানা অজানা তথ্য পেতে আমাদের ওয়েব পেজটি ভিজিট করুন।
ধন্যবাদ