আসসালামু আলাইকুম
পৃথিবীতে মানুষ বসবাস শুরু করার পর থেকেই ভাল খারাপ সব ধরনের মানুষ পৃথিবীতে বসবাস করে।কিছু মানুষ পশুর চাইতেও খারাপ।আবার কিছু মানুষ এতই খারাপ ছিল যাদের নাম ইতিহাসের পাতায় এখনো লেখা আছে।তো আজকে আমি আপনাদের এমন একজন সিরিয়াল কিলারের কথা যা শুনলে আপনার চোখ কপালে উঠে যাবে।চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় চলে যাই।
ডিয়াগো আলভেস।তার জন্ম ১৮২০ সালে স্পেনের গ্যালিসিও গ্রামে।তার বাবা একজন কৃষক ছিলেন।তিনি হত দরিদ্র পরিবারের একজন সাধারন ছেলে।অভাবের কারনে বেশি দূর পড়া লেখা করতে পারেননি।মাত্র ১৯ বছর বয়সে জীবিকার তাগিদে পর্তুগালে পাড়ি জমান।একজন ধনী ব্যাক্তির বাড়িতে তিনি চাকর হিসেবে চাকরি পেয়ে যান।চলতে থাকে সাধারন জীবন।সেখানে কাজ করতে করতে তিনি একজন মেয়ের প্রেমে পরে যান।এবং তিনি খুব বিশাল ভাবে মেয়েটির সাথে ভালবাসার জালে ফেসে যান।কিন্তু একটা সময় গিয়ে তিনি সেই মেয়ে সাথে প্রেমে ছেকা খান।এবং তার সেই চাকরিটি ছেড়ে দেন।ডিয়াগো আলভেস আস্তে আস্তে জুয়া আর মদ পান করা শুরু করেন।তিনি আস্তে আস্তে হিংস্র হয়ে উঠেন।একটা সময় গিয়ে তার কাছে টাকা শেষ হয়ে যায়।তার মাথায় টাকার নেশা চাপতে থাকে এবং সে ছিনতাই ও মানষকে ঠেক দেওয়া শুরু করে।সে ঐ অঞ্চলের একটা নির্জন ব্রিজকে এই কাজের জন্য নির্বাচন করে।সে ছিনতাই করার জন্য গরিব লোকদের বেছে নিয়ে ছিল।আর সে ঐ ব্রিজ থেকে ছিনতাই করার পর ছিনতাই কারী ব্যাক্তিকে সে ব্রিজ থেকে ফেলে মেরে ফেলত।এটাই ছিল তার উদ্দেশ্য।সে ১৮৩৬ থেকে ১৮৪০ পর্যন্ত প্রায় ৭০ জন মানুষকে সে হত্যা করে।আর এটা ছিল পুলিশের ধরার বাইরে কারন সে সময় পর্তুগালে খুব অভাব ছিল তাই পুলিশ মনে করত এসব লোক সবাই সোসাইড করে মারা গেছে।এতো বেশি মানুষ মারা যাওয়ার পর এই ব্রিজ দিয়ে মানুষ চলাচল নিষেধ ঘোষনা করা হয়।আর এই হত্যা যজ্ঞের খবর মানষের কাছে অজানা থেকে যায়।
সর্বশেষ ডিয়াগো আলভেস টাকার কোন উপায় না পেয়ে একটি ডাকাতিয়া দল গঠন করে এবং মানুষের বাড়িতে ডাকাতি শুরু করে।সর্বশেষ ১৯৪০ সালে পর্তুগাল পুলিশ তাকে ধরতে সক্ষম হয়।ধরার পর তাকে মৃত্যু দন্ড দেওয়া হয়।এবং তার হত্যা যজ্ঞ মানষের সামনে প্রকাশ পায়।
এবং তিনিই পর্তুগালের সবচেয়ে ভয়ংকর সিরিয়াল কিলার।বিজ্ঞানীরা মনে করে মানুষের ব্রেনে কিভাবে হত্যার পরিকল্পনা আসে তা ডিয়াগো আলভেসের মাথা থেকে গভেষনা করে জেনে নেওয়া যাবে।এবং মনো বিজ্ঞানের একটা নতুন অধ্যায় খোজে বের করা যাবে।তার মাথা কেটে রাখা হয়েছিল এবং তা আজও পর্তুগাল যাদুঘরে সংরক্ষন করে রাখা আছে।
তো আজ এ পর্যন্তই ভাল লাগলে কমেন্ট করে জানান।আর এই রকম আরো রোমাঞ্চ আর জানা অজানা কিছু জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।
ধন্যবাদ
Tags:
Unknown Facts