আসসালামু আলাইকুম...
নবী করীম (সাঃ) বলেছেন,আমি জাহান্নামে দেখলাম নারী আর নারী।পুরুষের চাইতে নারীর সংখ্যা অনেক বেশি।এটা বলার পর আল্লার নবী (সাঃ) বললেন,নারীদের জন্য জান্নাতে যাওয়া খুবই সহজ যদি কোন নারী এই চারটি কাজ করে।এ বিষয়ে হযরত আনাস (রাঃ) বলেন-রাসূল (সঃ) বলেছেনঃ-
স্ত্রীলোক যখন তার প্রতি নির্ধারিত
১. পাঁচ ওয়াক্ত সালাত যথা-ফজর,যোহর,আসর,মাগরিব,এবং এশা আদায় করবে
২. রমজান মাসের ২৯ কিংবা ৩০ দিন সিয়াম পালন করবে।
৩. নিজের লজ্জা স্থানের হেফাজত করবে।
৪. স্বামীর অনুগত থাকে,তখন সে জান্নাতের যেকোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে।
দলিলঃ (মেশকাতুল মাসাবিহ,হাদিস নাম্বারঃ ৩২৫৪)
মন্তব্যঃ
পাঁচ ওয়াক্ত সালাত শুধু জান্নাতের জন্যই প্রমান বহন করে না।ইহা দুনিয়াবী কল্যানও হাসিল হয়।পাঁচ ওয়াক্ত সালাতে আমরা পাঁচ বার ওযু করে থাকি,যার অপর নাম পরিষ্কার পরিছন্নতা বুঝায়।অতএব পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের গুরুত্ব অপরিসীম।রমজানের সিয়াম এইটা শুধু ইবাদত নয়,সিয়ামের মাধ্যমে অভাব দুঃখী মানুষের কষ্টের গ্লানি অনুভব করা যায়।এবং শারিরীক ভাবেও উপকার সাধিত হয়।
আর নিজের লজ্জা স্থানের হেফাজত করতে হবে।অন্য পুরুষের সাথে জেনায় লিপ্ত হওয়া যাবে।জেনা ব্যভিচার থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে।জেনার পাপ থেকে নিজেকে ঠেকিয়ে রাখতে হবে।
স্বামীর অনুগত থাকতে হবে।নিজের স্বামীকে মেনে চলতে হবে।যে নারী তার স্বামীকে মেনে চলবে আল্লাহ বলেন সেই মহিলা জান্নাতের যেকোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করবেন।আর তার জন্য জান্নাত হবে অতি সহজ।
উক্ত কাজগুলো যে নারী মেনে চলতে পারবে,সেই নারী জান্নাতে প্রবেশ করবেইই।সে জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা পাবে।
আমিন...
ইসলামিক কিছু জানতে হলে আমাদের এই পেইজটি ভিজিট করুন...।
ধন্যবাদ