পোস্টমর্টেম কিভাবে ময়না তদন্ত হলো।How was the postmortem done?

 আসসালামু আলাইকুম...

আমরা সবাই ময়নাতদন্ত বা  পোস্টমর্টেম শব্দের সাথে পরিচিত।কারো অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে সেই মৃত্যুর কারন জানতে পোস্টমর্টেম করা হয় সেই মৃত্যুর কারন জানতে।পোস্টমর্টেম শব্দটি এসেছে ইংরেজি শব্দ থেকে।আর ইংরেজিতে পোস্টমর্টেম শব্দটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ থেকে।পোস্টমর্টেম শব্দের অর্থ মৃত্যুর পরে।তার মানে কারো মৃত্যুতে সন্দিহান থাকলে মৃত্যুর পর সেই মৃত্যুর কারন বের করাকেই পোস্টমর্টেম বলে



পৃথিবীতে পোস্টমর্টেম শুরু হয়,মানুষের যখন সভ্যতায় ফিরে আসা শুরু করে সেই সময় থেকেই।মধ্য যুগে প্রথম পোস্টমর্টেম করা হয়।আর পৃথিবীতে প্রথম পোস্টমর্টেম করার প্রমান পাওয়া যায় রাজা জুলিয়াস সিজারের।রাজা জুলিয়াস সিজারের আকস্মিক ভাবে মৃত্যু হয়।আর তার সেই মৃত্যুতে সবাই সন্দিহান প্রকাশ করে।পরে রাজা জুলিহাস সিজারের দেহকে মমি (সে সময় রাজাদের কবর দেওয়া হত না) না করে তার দেহকে পরীক্ষার জন্য রাজ বৌদ্ধদের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।আর রাজ বৌদ্ধগন তার দেহ দেখে সনাক্ত করতে সক্ষম হন,তাকে বার ছুরি দিয়ে আঘাত করে শ্বাস বন্ধ করে মারা হয়েছে।এর পর থেকে শুরু হয় এই পোস্টমর্টেম প্রক্রিয়া।তারপর থেকে কারো অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে তার দেহকে পোষ্টমর্টেম করা হয়

এখন কথা হচ্ছে পোস্টমর্টেকে কেন বাংলায় ময়নাতদন্ত বলে।তো চলুন এই বিষয় জেনে নেই।ময়নাতদন্ত হলো বাংলা শব্দ।ময়না একটি পাখির নাম আর তদন্ত অর্থ খোজে বের করা।ময়না তদন্ত মানে ময়না পাখি খোজে বের করা।কিন্তু পোস্ট মর্টেমকে এই নাম দেওয়ার কারন হলো ময়না এমন একটি পাখি আর পুরা শরীর কালো আর ঠোট একটু শুধু হলুদ।আর এই পাখিকে হালকা  একটূ অন্ধকার হলেই আর খোজে পাওয়া যায় না।কিন্তু এই পাখির ডাক শুনলে সবাই বুঝতে পারে এটা ময়না পাখির ডাকআর এই অন্ধকারের সত্যকে খোজে বের করার জন্যই এই পোস্টমর্টেম এর নাম দেওয়া ময়না তদন্ত।

তো আজ এ পর্যন্তই ভাল লাগলে কমেন্ট করে জানান।এই জানা অজানা কিছু জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।

 


Post a Comment

Previous Post Next Post