আসসালামু আলাইকুম......।
আমরা যে পৃথিবী নামক গ্রহে বাস করি যেখানে ছড়িয়ে আছে জালের মত সব নদী আর সমুদ্র।তো টপিক দেখে বুঝতেই পারছেন আজকে কি নিয়ে কথা বলব তো চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় চলে যাই।
সমুদ্রের সবচেয়ে গভীরতম জায়গার নাম মারিয়ানা ট্রেঞ্চ বা মারিয়ানা খাত।এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে গভীরতম সমুদ্র খাত।বিশাল এই খাত প্রশান্ত মহাসাগড়ে অবস্থিত।মারিয়ানা ট্রেঞ্চ মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জের পূর্ব পাশে অবস্থিত।মারিয়ানা ট্রেঞ্চের দৈঘ্য প্রায় ২ হাজার ৫শ ৫০ কিলোমিটার আর প্রস্ত ৬৯ কিলোমিটার।আর এই গভীর খাতটি দেখতে অনেকটা গোলাকার।১৯৪৮ সালে প্রথম জাহাজের নাবিকেরা এই খাতের প্রথম সন্ধান পান।আর এই খাতের নামকরন করেন।মূলত মারিয়ানা দ্বীপের সাথে নামের মিল রেখে এই দ্বীপের নামকরন করা হয়।আর মারিয়ানা দ্বীপের নামকরন করা হয়েছিল স্পেনিস রানী মারিয়ানার নাম অনুযায়ী।কারন সে সময় প্রসান্ত মহাসাগড় সীমানা ছিল স্পেনিসদের দখল।তাই সে সময় এই নাম রাখা হয় এই খাতের।
এখুনো পর্যন্ত পৃথিবীর এই বিশাল খাতের গভীরতা জানা গেছে ১১ কিলোমিটার বা ৩৬ হাজার ৭০ বর্গ ফুট।কিন্তু এখনো পর্যন্ত বিজ্ঞানিরা এর সঠিক গভীরতা প্রমান করতে পারেনি।কারন এই মারিয়ানা ট্রেঞ্চ এর শেষ গভীর এখনো পর্যন্ত কোন বিজ্ঞানী যেতে সক্ষম হননি.১৯৬০ সালে জানুয়ারী মাসে মহাসাগড় প্রকৌশলী জ্যাক পিটার ও ডোনাল্ড খাতটির সবচেয়ে গভীরে ১০৯১৫ ফুট যেতে সক্ষম হন।আর সেখানকার নাম দেওয়া হয় চ্যালেঞ্জার-২।
পৃথিবীর এই গভীর খাত কখনো মানুষ সবচেয়ে নিচ থেকে ঘুরে আসতে পারবে কিনা তা বিজ্ঞানীদের চিন্তার বাইরে।কারন মানুষের জয় করা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পর্ব হলো হিমালয় পর্বত।আপনি যদি চিন্তা করেন হিমালয় পর্বতকে আপনি তুলে নিয়ে এই মারিয়ানা ট্রেঞ্চ এর মধ্যে ফেলে দিবেন,তাহলেও এই খাতের আপনি কোন শেষ খোজে পাবেন না।হিমালয় পর্বত এই খাতে পড়ে হারিয়ে যাবে।
আর খাদের শেষ অংশের পানির চাপ এতটাই বেশি যে সমুদ্রের পৃঠের বায়ু চাপের থেকে ১০০০ গুন বেশি।কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলেন খাদের শেষ প্রান্তের পানি এতটাই ঠান্ডা যে যা পৃথিবীর আর কোন সমুদ্রে নেই।কিন্ত পৃথিবীর এই গভীর খাতের নিচেও রয়েছে প্রানের অসিত্ব।কারন সেখানেও অবিরত চলে জীব চক্র।সেখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সামদ্রিক মাছ।
তো আজ এ পর্যন্তই ভাল লাগলে কমেন্ট করে জানান।আর এই জানা অজানা কিছু জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।
ধন্যবাদ...।