পৃথিবীর সবচেয়ে বিষধর সাপ কোনটি।।Which is the most venomous snake in the world?

 আসসামু আলাইকুম 

আশা করি সবাই ভাল আছেন।আলহামদুল্লিহ আমিও ভাল আছি।

পৃথিবীতে এমন মানুষ খোজে পাওয়া যাবে না যে সাপ দেখে ভয় পায় না।ছোট বড় সব বয়সের মানুষ কম বেশি ভয় পায়।আমরা আমাদের চলাফেরার বা কাজের সময় বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের সাপ দেখতে পাই।আবার অনেক মানুষ শখ করে বা বানিজ্যিক ভাবে সাপের খামার গড়ে তোলে।কিন্তু বেশির ভাগ মানুষই সাপের আক্রমন থেকে বাচার জন্য সাপ হত্যা করে দৌড়ে পালিয়ে যায়।তো আজকে এই পর্বে আমরা জানব পৃথিবীর সবচেয়ে বিষধর সাপ কোনটি।তো চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে নেই পৃথিবীর সবচেয়ে বিষধর সাপ কোনটি।

inland taipan

পৃথিবীতে অনেক প্রজাতির সাপ রয়েছে।প্রায় সব ধরনের সাপই বিষধর।হাতে গুনা কিছু সাপ হয়ত বিষ ছাড়া হতে পারে।বিষধরের সাপের কামড়ে মানুষের মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে পড়ে।দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে হয়ত বাচানো সম্ভব হয়।১৫ কোটি বছর আগে সাপের অসিত্ব মিলে এই পৃথিবীতে।তারপর মানুষ নানা ভাবে সাপের উপর গভেষনা চালিয়ে গেছে।এখনো মানুষের কাছে সাপ নিয়ে গভেষনার কোন শেষ নাই।পৃথিবীতে প্রায় ২৯০০শ এর চেয়েও বেশি প্রজাতির সাপ রয়েছে।সাপের ১৫ টি ফ্যামিলি রয়েছে।আর ৪৬৫ টি গুন রয়েছে।

তাদের মধ্যে সবচেয়ে বিষধর যে জাত তার নাম হল ইনল্যান্ড তাইপান।ইনল্যান্ড তাইপান পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম বিষাক্ত সাপ।এই বিষাক্ত সাপ গুলোর দেখা মিলে অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের ইনল্যান্ডে।আস্ট্রেলিয়ার আধিবাসিরা এই সাপকে ডান্ডারবিলা নামে চিনে। এরা আকারে ছোট হয়।এরা  কখনোই মানুষের শংস্পর্শে আসে না। ১৮৮৭ সালে প্রথম এই সাপের সন্ধান পাওয়া যায়।এবং সাপ সম্পর্কে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।এই সাপ খুব খুব দ্রুত তার শত্রুকে আঘাত করতে পারে।এবং এক বারে আক্রমনে অনেক বার আঘাত করতে সক্ষম এই সাপ।এই সাপের বিষ প্রথম একটি ইদুরের উপর প্রয়োগ করা হয়।তাতে পরীক্ষা করে দেখা হয় জলে ও স্থলে এই সাপের থেকে বিষধর বিষ আর কোন সাপ প্রয়োগ করতে পারে না।ইনল্যান্ড তাইপানের এক কামড়ে যে পরিমান বিষ বের হয় তাতে করে ১০০ পূর্ন বয়স্ক মানুষ এক কামড়ে মারতে সক্ষম।এই প্রজাতির তাইপান খুব শান্ত স্বাভাবের হয়।এরা বিপদে না পড়লে কাউকে আক্রমন করে না।খুব শান্ত স্বভাবের হয়ে থাকে পৃথিবীর সবচেয়ে বিষধর এই সাপ।

তো আজ এ পর্যন্তই ভাল লাগলে কমেন্টে জানান আর অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন।

ধন্যবাদ


Post a Comment

Previous Post Next Post