পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট পাখি সম্পর্কে অজানা মজার তথ্য।।Unknown interesting facts about the world's smallest bird.

হামিং বার্ড সম্পর্কে অজানা কিছু মজার তথ্য।


হামিং বার্ড,be humming bird


আসসামুয়ালাইকুম 
আশা করি সবাই ভালো আছেন?আলহামদুল্লিহ আমিও ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট পাখি সম্পর্কে কিছু মজার তথ্য জানাব।চলুন অযথা কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় চলে যাই।আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে।
হামিং বার্ড একটা ছোট পাখি,যাছে অসাধারন ক্ষমতা।যা তাক লাগিয়ে রেখেছে গোটা বিশ্ব কে।যার পুরো নাম BE HUMMING BRIDS,যার বাংলা নাম মৌ হামিং বার্ড।যার বৈজ্ঞানীক নাম (Mellisuga helenae)।

চলুন এই অদ্ভুদ পাখিটি সম্পর্কে কিছু মজার তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

১।হামিং বার্ড হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট পাখি।যাকে গুনীজনরা মৌমাছির সাথে তুলনা করেন।
২।হামিং বার্ড হাটতে পারে না।তবে এদের বিশেষ একটা ক্ষমতা আছে,এরা সামনে পিছনে উপরে নিচে সব দিকেই পূর্ন গতিতে চলাচল কর‍তে পারে।
৩।পুরুষ হামিং বার্ডের তুলনায় স্ত্রীরা সামান্য বড় হয়।স্ত্রী হামিং বার্ডের ওজন ২.৬ গ্রাম আর লম্বা ৬.১ সেন্টিমিটার।পুরুষ হামিং এর ওজন ১.৯৫ গ্রাম আর এরা ৫.৫ সেন্টিমিটার লম্বা হয়।
৪।কিউবায় এই ক্ষুদে পাখিগুলার দেখা মিলে।গ্রীষ্মকালীন পরিযাত্রায় এরা মেক্সিকো উপসাগড় পাড়ি দেয়।
৫।পুরুষ হামিং বার্ডের থেকে স্ত্রীদের গায়ের রঙ একটু ভিন্ন হয়।পুরুষদের গায়ের রং সবুজ পিলিয়াম ও উজ্বল লাল।আর স্ত্রীদের গায়ের রঙ নীলাভ সবুজ এবং নিচের দিকে ফ্যাকাশে ধূসর। এদের লেজের পালকের ডগায় সাদা দাগ থাকে। সঙ্গমের ঋতুতে, পুরুষদের মাথা, চিবুক এবং গলা লাল থেকে গোলাপী হয়।
৬।একটি হামিং বার্ড দৈনিক ১৫০০ ফুলের কাছে যেতে পারে।এবং এদের উড়ার গতি ঘন্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।এবং এই ক্ষুদে পাখিগুলো প্রতিসেকেন্ডে ৮০ থেকে ২০০ বার ডানা ঝাপটাতে সক্ষম।যেকারনে এই ক্ষুদে পাখি বাতাসে স্ত্রিরভাবে থাকতে পারে।
৭।এই ক্ষুদে পাখিগুলো বন্য পরিবেশে ৭ বছর ও বন্ধি পরিবেশে ১০ পর্যন্ত বাচতে পারে।
৮।বেশির ভাগ মানুষি মনে করে হামিং বার্ড ফুলের মধু খেয়ে বেচে থাকে কিন্তু আসলে বেশির ভাগ হামিং বার্ডই পোকা মাকড় খেয়ে বেচে থাকে।

Post a Comment

Previous Post Next Post