আমি কি টপিক নিয়ে ইউটিউব ভিডিও বানাতে পারি।বিস্তারিত__


 আসসালামু আলাইকুম। 


আশা করি সবাই ভালো আছেন।আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও ভাল আছি।বিডিষ্টোরি.টেক টিম প্রতিনিয়ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে লেখার চেষ্টা করে।আমরা চেষ্টা করি সব সময় আপনাদের সমস্যা গুলো কিছুটা হলেও সমাধান করার জন্য।তো আজকেও তার ব্যতিক্রম নয়।আজকেও হাজির হয়েছি একটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ একটা টপিক নিয়ে।তো চলুন আর কথা না বাড়িয়ে সরাসরি মূল আলোচনায় চলে যাই।

তো বর্তমানে যারা ইউটিউবিং করতে চান বা ইউটিউবকে নিজের পেশা হিসেবে গ্রহন করতে চায় তাদের সবাই এই সমস্যায় পড়েন বলে আমার মনে হয়,যে কি টপিক নিয়ে ভিডিও বানাব।কি টপিক নিয়ে ভিডিও বানালে আমি সফল হতে পারব ইত্যাদি নানা ধরনের প্রশ্ন থাকে আমাদের মনে।অনেক সময় আমরা ভিডিওর টপিক না পেয়ে হতাশ হয়ে যাই।তো আমি আপনাকে বলব হতাশ হওয়ার কিছু নাই।আপনি আস্তে আস্তে শুরু করুন,লেগে থাকুন আশা করি আপনি লক্ষ্য পর্যন্ত যেতে পারবেন।আসলে টপিক অনেকটা নির্ভর করে অনেকটা আপনার কন্টেন্ট বানানোর দক্ষতার ও আপনার ভিডিও এডিট আর ভিডিও সুট করার উপর।কারন আপনার যদি ভাল মানের মোবাইল বা ক্যামেরা না থাকে তাহলে আপনি ফেইস ক্যাম ভিডিও বানাতে পারবেন না।সেক্ষেত্রে আপনাকে ফেইস রিলেটেড না সেরকম ভিডিও বানাতে হবে।উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি-মায়াজাল,পিনিক,টেনমিনিটমাদরাসা ইত্যাদি চানেল।আসলে চ্যানেল ক্যাটাগরি নির্বাচন করার আগে আপনাকে বুঝতে হবে আপনি কি কেটাঘড়ি নির্বাচন করবেন এবং কোন কোয়ালিটির ভিডিও বানাবেন।তার আগে বুঝতে আপনি আপনি কোন বিষয়ে বেশি দক্ষ।আপনি যে বিষয়ের উপর বেশি সেই বিষয় নিয়ে আপনি ভিডিও বানাবেন।আপনার কেটাগড়ি নির্বাচন করবেন এবং আপনার চ্যানেলের নাম নির্বাচন করবেন।আমি আপনাকে কিছু উদাহরণ দিচ্ছি-যেমন আপনি মোবাইল মেকানিক এখন আপনি তো মোবাইল সম্পর্কে বেশি জানেন তার মানে আপনি মোবাইল কিভাবে রিফারিং করা যায় সেই বিষয়ে  ব্লগ ভিডিও বানাতে পারেন।আবার আপনি টেকনোলজি বা মোবাইল সফটওয়্যার সম্পর্কে বেশি জানেন তাহলে মোবাইল  টেকনোলজি সম্পর্কে ভিডিও বানাতে পারর।আবার আপনি  ইসালামিক সঙ্গীত বা ছড়া কবিতা ভাল পারেন তাহলে আপনি এই বিষয়ে চ্যানেল নির্বাচন করুন।অপর দিকে আপনি যদি গেম খুব ভাল পারেন তাহলে গেমিং চ্যানেল খুলতে পারেন।আর যদি পৃথিবী সম্পর্কে ভাল জানেন বা পড়াপড়া সাজেশন দিতে পারেন তাহলে ভয়েজ কভার করে এই ডিভিও গুলা করতে পারেন।আর যদি ভিডিও বানানোর মত উপকরন থাকে তাহলে ফানি ভিডিও বা মিউজিক ভিডিও কাভার করতে পারেন।ভাই ভিডিও বানানোর টপিক এর শেষ নাই।একটু মেধা দিয়ে চিন্তা করলে শত শত কন্টেন্ট আপনার সামনে চলে আসবে।আপনি শুধু একবার শুরু করে দেখেন।কিন্তু হ্যা অবশ্যই আপনাকে লেগে থাকতে হবে।তো আজ এ পর্যন্তই আশা করি একটু হলেও বুঝাতে পারছি।লেখাগুলা ভাল লাগলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিন।

ধন্যবাদ....

Post a Comment

Previous Post Next Post