রাস্তার টোকাই থেকে কিভাবে হলেন কোটি কোটি টাকার মালিক।


 আসসালামু আলাইকুম। 

হিন্দু ভাইদের প্রতি আদাব।অন্যান্য জাতির ভাইদের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

আশা করি সবাই ভালো আছেন? আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়া আর ভালবাসায় আমিও ভাল আছি।তো আপনার প্রতি অগাত ভালবাসা জানাই "বিডিষ্টোরি.টেক" এর পক্ষ থেকে।

আসলে ব্যাক্তি জীবনে যারা সফল হয়েছেন তাদের জীবনের সবারি জীবনে কিছু না কিছু গল্প লুকানো আছে হয়ত আমরা কারো গল্প জানি আবার কারো গল্প জানি না।আজকে আপনি আমি যাদের কোটি টাকার মালিক হিসেবে চিনি হয়তবা তাদের জীবনের গল্প গুলো  আমরা জানি না।তারা কিভাবে এত টাকার মালিক হয়েছেন।তারা কি করছেন, তারা কোথায় ছিলেন,কত টাকা দিয়ে কাজ শুরু করছেন।কিন্তু আমরা শুধু দেখি আজকে তারা সফল,দামী দামী গাড়ি আর দামী ফ্লাট বাড়িতে তারা বসবাস করে।কিন্তু এর পিছনের গল্পটা আমরা জানি না।তো সেরকম আজকে একজন ভিন্য রকম কোটিপতি সম্পর্কে বলব।যেকিনা রাস্তার টোকাই থেকে হয়েছে কয়েটা কোম্পানির মালিক এবং কিনেছেন একটা শিশু পার্ক।আসলে জীবনে সফলতা শুরু  এই শিশু পার্ক থেকেই।

নাম আব্দুল আজিজ।বাপ মা খুব আদর করে আজিজ বললেই ডাকত।কামরাঙ্গীড় চড় বস্তিতে ১৯৮০ এর দিকে জন্ম।তাদের গ্রামের বাড়ি বরিশালের প্রতান্ত অঞ্চলে।বাপ ছিলেন রিকশা চালক আর মা মানসের বাড়ি জি এর কাজ করত।বর্তমানে আমরা যাকে বোয়া বলি।আজিজের বয়স যখন ৫ তখন আজিজের বাবা মারা যায়।মা কষ্ট জি এর কাজ করে করে আজিজ কে ক্লাস ৩ পর্যন্ত লেখাপড়া করায়।ভাগ্যের কি নির্মম খেলা কিছু দিনের মধ্যে এক অচিন ব্যাধি ধরে যায় তার মায়ের।বিছানায় থাকতে থাকতে ঔষধ আর খাদ্যের অভাবে মারা যায় তার মাও।আজিজ হয়ে যায় একা শুরু হয় রাস্তার জীবন।সারা দিন সালা কাধে নিয়ে খোজে বেড়ান বোতল আর লোহার টুকরা।দিন শেষে বিক্রি করে খাবার কিনে খেয়ে শুয়ে পড়েন রাস্তার ফুটপাতেই।এভাবে কেটে গেল কয়েক বছর মোটামুটি বুঝতে শিখল আজিজ।

একদিন বোতল কুড়াতে কুড়াতে একটা শিশু পার্কের ভিতর ডোকে পড়ল আজিজ।মনের সুখে সে বোতল কুড়াতে লাগল।হঠাৎ তার একটা জিনিস দেখে মনে ধরল তার, সে সেখানে ওঠে খেলতে লাগল।তখন সে ভুলেই গিয়েছিল সে সেখানে বোতল কুড়াতে এসেছে।অনেক্ষন পর কোথা থেকে দারোয়ান এসে তাকে ধরে আর সব কিছু সহ তাকে গেটের বাইরে ছুরে ফেলে দিল।সে তাতে কিছুটা ব্যথাও পেয়ে।এবং কি সে সেখান থেকে প্রতিজ্ঞা করল যে,সে কোন একদিন এই পার্কটা কিনে নিবে।এবং সে দিন এই পার্কে সে ফিরে আসবে।এভাবে চলে গেল কয়েক বছর আজিজ এখন একটা হোটেলে কাজ করে,টেবিল পরিষ্কার করার দায়িত্ব পালন করে সে।এভাবে কিছু কিছু টাকা সে জামাতে লাগল।অল্প কয়েক বছরের মাথায় সে নিজেই একটা হোটেল দিয়ে দিল।এবং তার বিক্রি দিন দিন বাড়তে থাকল।তার বয়স যখন ১৮ বছর তখন সে নিজেই একটা পুরা হোটেল এর মালিক।সে বাহিরে থেকে পরিষ্কার পানি কিনে এনে কাষ্টমারদের দিত।একদিন সে চিন্তা করল সে যদি নিজেই একটা পানি পরিষ্কার করার মেশিন কিনে তাহলে কেমন হয়।এবং সে আস্তে আস্তে পরিকল্পনা মাফিক কাজ করতে একটা মিনারেল পানির একটা কোম্পানিই প্রতিষ্ঠা করে ফেলল।তার কোম্পানির বিক্রি প্রচুর বাড়তে থাকল।এবং সে অল্প কয়েক বছরে কয়েটা কোম্পানি প্রতিষ্টা করে ফেলল।সে তখন কয়েকশ কোটি টাকার মালিক।এতো দিন তার সেই পার্ক কিনার স্বপ্নটা মনেই রয়ে গেছে।এবং কি সেই পার্কের মালিককে সে তিন ডাবল টাকা বেশি দিয়ে পার্কটা কিনে নেয় এবং সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়।বর্তমানে সে কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক এই আব্দুল আজিজ।বিদেশে রয়েছে তার বিজনেস।আসলে গল্পটা থেকে একটা কথাই বলতে পারি মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়।

তো আজ এ পর্যন্তই।ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।গল্পটা ভাল লাগলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিন।

Post a Comment

Previous Post Next Post